১০নং উত্তর মাদার্শা : মাদারীহ্ তরিকার প্রবর্তক শেখ বদিউদ্দীন কুতুবুল মাদারের নামানুসারে মাদার্শা। তাঁর পিতা ছিলেন সিরিয়ার আবু ইসহাক। শেখ বদিউদ্দীন শাহ মাদার সিরিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাঁর পিতার নাম আবু ইসহাক শামী। ইনি মুসা নবীর ভাই হারুনের বংশধর। তিনি একজন বিখ্যাত পরিভ্রাজক ও ধর্ম প্রাচারক ছিলেন। তিনি সিরিয়া হতে ভারতে পরে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আসেন। বাংলাদেশের নানা স্থানে ভ্ররণ করেন। মাদার্শা, মাদারবাড়ী, মাদারী খাল, মাদারীপুর, মাদারঠেক, তাঁর শুভাগমনের স্থানীয় স্মৃতি রক্ষা করছে। ভারত বাংলাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পরে যে সকল সুফী সাধারন্যে অসাধারন প্রভাব বিস্তার করেন তাঁদের মধ্যে শেখ বদিউদ্দীন শাহ মাদার অন্যতম। তিনি সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনকালে (১৩৫১-১৩৮৮খ্রী:) ভারতে আসেন এবং দিল্লী আজমীর, কনৌজ, লাখনৌ, জৌনপুর প্রভৃতি স্থানে প্রব্রজ্যা ও অবস্থানের পর উত্তর প্রদেশের মকানপুরে এসে স্থায়ীভাবে আসতানা গড়েন। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সর্বকনিষ্ঠ সহচর হযরত ওয়ায়েশ করনীর তালিকাভুক্ত সুফী ছিলেন। তাঁর অনুবর্তী শাহ সুলতান হাসান মুরিয়া বুরহানা ফকির সাহেবের নামে সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহজাদা মুহাম্মদ শুজা ১৫৫৯ খৃষ্টাব্দে এই মর্মে সনদ প্রদান করেন যে, তিনি তাঁর মুরিদগনের হেদায়েতের জন্য স্বাধীনভাবে জুলূস ও মিছিলের সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেকোন পথে যাতায়াত করতে পারতেন। মাদারী সম্প্রদায়ভুক্ত বিভিন্ন দলের ফকিরগন দল বেঁধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতেন। মাদারী ফকিরদের মধ্যে মজনু শাহ এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে গেছেন। ১৯৬০ খৃষ্টাব্দের আগে গড়দুয়ারা, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা নামেই একটি ইউনিয়ন ছিল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস